বিলাওয়াল হিনার দপ্তরের মন্ত্রী হতে পারেন

বিলাওয়াল হিনার দপ্তরের মন্ত্রী হতে পারেন
গতকাল মঙ্গলবারশপথ নিয়েছে পাকিস্তানের জোট সরকারের মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহ পর ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা পেলেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ। তবে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কেউ শপথ নেননি। এ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) হিনা রব্বানি খার। পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি তাঁর মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হতে পারেন বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পুনরায় সম্পর্ক জোরদার করতে চায় শাহবাজের জোট সরকার। তবে বিলাওয়াল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। মঙ্গলবার শপথ নেওয়া মন্ত্রিসভার সদস্যের মধ্যে তিনি ছিলেন না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এখন পর্যন্ত কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। বিলাওয়াল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন, আগে থেকেই এমন গুঞ্জন রয়েছে। তবে হিনা রব্বানি খার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হওয়া মানে গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরটি পিপিপির হাতেই গেছে। পিএমএল-এন ও পিপিপির মধ্যে কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয়ের সুরাহা হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বিলাওয়াল শপথ নিতে পারেন বলে সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে। এ জন্য মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার আগে পিএমএল-এনের সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরিফের সঙ্গে লন্ডনে তিনি দেখাও করতে পারেন। মন্ত্রিসভায় বিলাওয়ালের যোগদানের বিষয়টি ঝুলে থাকলেও মঙ্গলবারই নিজের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন হিনা রব্বানি খার। পিপিপি সরকারে থাকার সময় ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। ‘রেমন্ড ডেভিস বিতর্কে’ শাহ মাহমুদ কোরেশি পদত্যাগ করলে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন হিনা রব্বানি খার। তখন ৩৪ বছর বয়সী হিনা ছিলেন সবচেয়ে কম বয়সী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম কার্যদিবসে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রসচিব সোহাইল মাহমুদ। সূত্রগুলো দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে জানিয়েছে, নতুন সরকারের অধীন পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের আমলে পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সম্পর্ক মেরামতের ওপর জোর দেওয়া হবে। এক কর্মকর্তা বলেন, পররাষ্ট্রনীতিতে স্বল্প মেয়াদে সুনির্দিষ্ট কিছু অর্জন দেখাতে পারে সরকার। ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বড় ধরনের যোগাযোগের বিষয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইতিমধ্যে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। নতুন সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দিয়ে দুবার বিবৃতি দিয়েছে। ওয়াশিংটনও নতুন সরকারের সম্পর্কোন্নয়নের সদিচ্ছার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। ।